ওয়াজ মাহফিলে রাতের বেলায় মাইক দিয়ে সাউন্ড ব্যবহার কতটুকু প্রযোজ্য? Sino-Bangla Sino-Bangla News Publish: 12:10 AM, November 18, 2019 ৯রাজনৈতিক সভা, বিনোদন অনুষ্ঠান, বানিজ্যিক প্রচারণা এবং ধর্মীয় ওয়াজ-আলোচনার সাউন্ড মূল অনুষ্ঠানস্থলে সীমাবদ্ধ রাখাই যৌক্তিক। অনুষ্ঠানস্থলের বাহিরে মাইক লাগিয়ে অন্যদের শুনতে বাধ্য করা অন্যায় এবং অযৌক্তিক। ওয়াজ মাহফিলে প্যান্ডেলের বাহিরের মাইক বড়জোর রাত ১০টা পর্যন্ত চালু থাকতে পারে। এরপর শুধু প্যান্ডেলের ভেতরের সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা উচিত। কারণ, গভীর রাত পর্যন্ত বাহিরের মাইক ব্যবহারের কারণে অন্য ধর্মের অনুসারী কিংবা ঘুমন্ত মানুষ, শিশু, অসুস্থ লোক এবং বিশেষ করে পিএসসি ও জে এস সিসহ অন্যান্য পরিক্ষার্থী; এমনকি মাহফিলের আশপাশের মানুষদের জরুরী প্রয়োজনে মোবাইলে কথাবার্তা বলাও দরূহ হয়ে যায়। কারো ক্ষতি করে, কাউকে কষ্ট দিয়ে এভাবে ইসলাম প্রচার কোনো ভাবেই ইসলামে অনুমোদিত নয়। এমন অযৌক্তিক কাজে বহু সাধারণ মানুষ বরং ইসলামের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হবেন; বরং হচ্ছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসজিদে ই‘তিকাফ কালে সাহাবীদেরকে উচ্চস্বরে ক্বিরাআত পড়তে শুনে পর্দা সরিয়ে বললেনঃ জেনে রাখো! তোমাদের প্রত্যেকেই স্বীয় রব্বের সাথে চুপিসারে আলাপে রত আছো। কাজেই তোমরা পরস্পরকে কষ্ট দিও না এবং পরস্পরের সামনে ক্বিরাআতে বা সলাতে আওয়ায উঁচু করো না। (সুনান আবূ দাঊদ, সালাত অধ্যায়, হাদীস নং ১৩৩২) আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন- তুমি প্রতি জুমু‘আহয় লোকেদের হাদীস শোনাবে। যদি এতে তুমি ক্লান্ত না হও তবে সপ্তাহে দু’ বার। আরও অধিক করতে চাও তবে তিনবার। আরও অধিক নাসীহাত করে এ কুরআনের প্রতি মানুষের মনে বিরক্তি সৃষ্টি করো না। লোকেরা তাদের কথাবার্তায় ব্যস্ত থাকা অবস্থায় তুমি তাদের কাছে এসে তাদের নির্দেশ দেবে- আমি যেন এমন হালাতে তোমাকে না পাই। কারণ এতে তাদের কথায় বিঘ্ন সৃষ্টি হবে এবং তারা বিরক্ত হবে। বরং তুমি এ সময় নীরব থাকবে। যদি তারা আগ্রহ নিয়ে তোমাকে নাসীহাত দিতে বলে তাহলে তুমি তাদের নাসীহাত দেবে। (বুখারী, অধ্যায় দুয়াসমূহ, হাদীস নং ৬৩৩৭) লেখনেঃ শায়েখ আহমদুল্লাহ, আস্সুন্নাহ ফাউন্ডেশন SHARES Home Subject: