অধিনায়কত্ব না করতে পারলেই ভালো হয় সাকিবের Sino-Bangla Sino-Bangla News Publish: 12:02 AM, September 10, 2019 কদিন আগে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘মানসিকভাবে আমি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নই।’ আজ সংবাদ সম্মেলনেও প্রায় একই কথা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাঁর কথায় বোঝা যাচ্ছে, অধিনায়কত্বের বাড়তি দায়িত্বটা তিনি উপভোগ করতে পারছেন না। এই টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে দলের ঢাল হয়ে বারবার তিনিই সামনে এসেছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। ছয় দিনের মধ্যে চার দিনই এসেছেন সংবাদ সম্মেলনে। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে নানা প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এতে অবশ্য ভাবার কারণ নেই খারাপ খেলার ব্যাখ্যা দিতে বারবার সংবাদ সম্মেলনে আসতে তাঁর খুব ভালো লাগছে! বরং দলের দায়িত্ব থেকে মুক্ত থাকতে পারলেই সাকিব খুশি, ‘অধিনায়কত্ব যদি না করতে হয় সেটিই সবচেয়ে ভালো হবে আমার জন্য। আর নেতৃত্ব যদি দিতেই হয় তাহলে অবশ্যই অনেক কিছু নিয়ে (বোর্ডের সঙ্গে) আলোচনা করার ব্যাপার আছে (এই টেস্টে হারের পর)।’ সাকিবের কথার অর্থ, হয় তিনি অধিনায়কত্ব করবেন না। আর করলে বিসিবির সঙ্গে কিছু বোঝাপড়া করেই নেবেন। অধিনায়ক সাকিবের ভবিষ্যৎ পরে, আপাতত তাঁকে সইতে হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সাকিব অবশ্য এই হারকে লজ্জা মনে করেন না। তবে তাঁর কাছে ভীষণ কষ্টদায়ক। আফগানদের কাছে হারের ব্যাখ্যা তিনি কীভাবে দেবেন, কোনো ভাষাই খুঁজে পাচ্ছেন না, ‘খুবই খারাপ, এভাবে হারাটা খুবই খারাপ। খারাপের চেয়ে নিচে কোনো শব্দ থাকলে সেটা বলতে পারেন। খুবই খারাপ, হতাশাজনক। যত কিছু নেতিবাচক কথা আছে সবই বলে দিতে পারেন। আফগানিস্তান নিয়ে বলব যে আমরা কখনো আসলে ওদের চাপেই ফেলতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবে ওরা লেটার মার্কসই পাবে এই টেস্টে।’ আফগানিস্তান লেটার মার্কস পাচ্ছে। আর বাংলাদেশ? সাকিব অকপটেই জানিয়েছেন—শূন্য! আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমে শূন্য হাতে ফিরতে হয়—দেশের ক্রিকেটের অশনিসংকেত ফের বেজে উঠল। SHARES Home Subject: ক্রিকেটসাকিব আল হাসান